শীত এলেই সবচেয়ে বেশি ভয় কাজ করে যে বিষয়টি নিয়ে সেটি হলো গোসল। সারাদিন যেমন-তেমন, গোসলের সময় এলেই যেন ভয়ে কাবু! কারণ হিম হিম এই আবহাওয়ায় পানিও ভীষণ ঠান্ডা হয়ে থাকে। তাই বলে তো গোসল না করেও থাকা যায় না। আর তাইতো শেষমেশ দ্বারস্থ হতে হয় গরম পানির। কিন্তু আপনি জানেন কি, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাই একটু কষ্ট করে হলেও ঠান্ডা পানিতে গোসলটা সেরে নিন, কারণ এর রয়েছে বিস্তর উপকারিতা।
ঠান্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। এর কারণ হলো, ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য শরীরে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট পোড়াতে হয়।
শীতে গোসল করবেন ঠান্ডা নাকি গরম পানিতে?
ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে দেহের রক্ত প্রবাহমাত্রা বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানির স্পর্শ পেলেই ত্বক সংকুচিত হয়ে আসে। কারণ এই সময় ত্বক কিছুটা তাপমাত্রা হারায়। ফলে রক্ত চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হওয়ার কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শিরা-উপশিরায় দ্রুত গতিতে ধাবিত হতে থাকে।ঠান্ডা পানি গায়ে ঢাললে শীত লাগে। এর কারণ হলো, ত্বক তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা হারায়। বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দেহ নিজেই তাপ উৎপন্ন করে। এর জন্য শরীরে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট পোড়াতে হয়।
- ঠান্ডা পানির স্নানে প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- পেশির ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে কনকনে ঠান্ডা পানিতে গোসল।
- ঠান্ডা পানি মুহূর্তেই দেহের সতেজতা ফিরিয়ে আনে। এতে অনিদ্রা রোগের উপশম হয়।
- ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে অনেক পুরনো ব্যথা হ্রাস পায়। দেহের অস্বস্তিকর উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং স্নায়বিক দুর্বলতা দূর হয়।
খুব গরমের সময় আমরা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পছন্দ করি। আবার শীতের সময় হালকা গরম পানি দিয়ে। তো কোনটি ভালো? অনেকে বলেন, ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা ভালো; গরম পানি দিয়ে গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবে সত্যটি হচ্ছে গরম বা ঠান্ডা পানি দুটো গোসলেরই কিছু উপকার রয়েছে।
গরম পানিতে কখন গোসল করবেন ?
- গোসলের পর শিথিল বোধ করতে চাইলে গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর গরম পানির গোসল ক্লান্তিভাব কাটাবে।
- গরম পানির গোসল অবসন্ন ও ক্লান্তিভাব কাটায়, বিশেষ করে বিকেল বেলায়।
- মাথাব্যথা থাকলে গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি সাময়িকভাবে মাথাব্যথা কমাবে।
- ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা লাগছে? মুখ ফোলা ভাব কমাতে গরম পানির গোসল করতে পারেন।
- কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই উদ্বিগ্ন লাগলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। এতে শরীর শিথিল থাকবে।
- গরম পানির গোসল নাকের সর্দি কমায়।
- গরম পানির গোসল শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
- গরম পানির গোসল ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে দেয়। এতে শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।
ঠান্ডা পানির গোসলের উপকারিতা
- ঠান্ডা পানির গোসল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এ জন্য অনেকেই ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলকে ভালো মনে করেন।
- ঠান্ডা পানির গোসল অ্যান্টি ডিপ্রেশন হরমোন বের করে। এতে ভালো অনুভূতি হয়।
- বিপাক ভালো রাখতে কাজ করে।
- ঠান্ডা পানির গোসল আপনাকে সতেজ করবে, বিশেষ করে সকালে।
- ঠান্ডা পানির গোসল চুল পরা প্রতিরোধ করে এবং ত্বক ভালো রাখে।
ডাঃ হাসান (ডিএইচএমএস, পিডিটি - বিএইচএমসি, ঢাকা)
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকাযৌন ও স্ত্রীরোগ, চর্মরোগ, কিডনি রোগ, হেপাটাইটিস, লিভার ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, পাইলস, IBS, পুরাতন আমাশয়সহ সকল ক্রনিক রোগে হোমিও চিকিৎসা নিন।
১০৬ দক্ষিন যাত্রাবাড়ী, শহীদ ফারুক রোড, ঢাকা ১২০৪, বাংলাদেশফোন :- ০১৭২৭-৩৮২৬৭১ এবং ০১৯২২-৪৩৭৪৩৫
ইমেইল:adhunikhomeopathy@gmail.com
স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য যেকোন সময় নির্দিধায় এবং নিঃসংকোচে যোগাযোগ করুন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন সর্বাধুনিক ও সফল হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা নিন
কিডনি সমস্যা
- কিডনি পাথর
- কিডনি সিস্ট
- কিডনি ইনফেকশন
- কিডনি বিকলতা
- প্রসাবে রক্ত
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা
- প্রসাব না হওয়া
- শরীর ফুলে যাওয়া
লিভার সমস্যা
- ফ্যাটি লিভার
- লিভার অ্যাবসেস (ফোঁড়া)
- জন্ডিস
- ভাইরাল হেপাটাইটিস
- ক্রনিক হেপাটাইটিস
- HBsAg (+ve)
- লিভার সিরোসিস
- লিভার ক্যানসার
পুরুষের সমস্যা
- যৌন দুর্বলতা,দ্রুত বীর্যপাত
- শুক্রতারল্য,ধাতু দৌর্বল্য
- হস্তমৈথুন অভ্যাস
- হস্তমৈথনের কুফল
- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ
- পুরুষত্বহীনতা, ধ্বজভঙ্গ
- পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ
- সিফিলিস, গনোরিয়া
স্ত্রীরোগ সমূহ
- স্তন টিউমার
- ডিম্বাশয়ে টিউমার
- ডিম্বাশয়ের সিস্ট
- জরায়ুতে টিউমার
- জরায়ু নিচে নেমে আসা
- অনিয়মিত মাসিক
- যোনিতে প্রদাহ,বন্ধ্যাত্ব
- লিউকোরিয়া, স্রাব
পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা
- পেটে গ্যাসের সমস্যা
- ক্রনিক গ্যাস্ট্রিক আলসার
- নতুন এবং পুরাতন আমাশয়
- আইবিএস (IBS)
- আইবিডি (IBD)
- তীব্রতর কোষ্ঠকাঠিন্য
- পাইলস, ফিস্টুলা
- এনাল ফিসার
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
- বাতজ্বর
- লিউকেমিয়া, থ্যালাসেমিয়া
- সাইনোসায়টিস
- এলাৰ্জি
- মাইগ্রেন
- অনিদ্রা
- সোরিয়াসিস (Psoriasis)
- সাধারণ অসুস্থতা